চকরিয়া বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিপরীতে পরিবেশ বিধ্বংসী নিষিদ্ধ ঘোষিত আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস করণ কর্মসুচি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের পুচালিয়া এলাকায় ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি নার্সারিতে পরিবেশ বিধংসী গাছের চারা ধ্বংস করণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৪৫টি নার্সারি রয়েছে। তদমধ্যে ২৭টি নার্সারিতে পরিবেশ বিধংসী আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা বিপণন করা হচ্ছে। এসব নার্সারি মালিককে প্রতিটি গাছের চারার বিপরীতে সরকারি বরাদ্দের আলোকে চার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কৃষি বিভাগের স্থানীয় উপসহকারী কৃষি অফিসার ও বনকর্মীরা উপস্থিত থেকে সংশ্লিষ্ট নার্সারিতে পরিবেশ বিধংসী আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা গননা করে সংশ্লিষ্ট নার্সারি মালিকের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা হস্তান্তর পুর্বক গাছের চারা ধ্বংস করার কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
নার্সারিতে পরিবেশ বিধ্বংসী গাছের চারা গাছ ধ্বংস করার কর্মসুচি উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রূপায়ন দেব, চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফেরদৌসী জাহান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ইশরাত জাহান সুইটি, ফাসিয়াখালী রেঞ্জের বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মো.মেহেরাজ উদ্দিন, কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিন, চকরিয়া উপজেলা নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি সালাহউদ্দিন সহ উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি অফিসার, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী বন রেঞ্জ অফিসের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন নার্সারির মালিক। ##