কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহুত জুলাই পদযাত্রা ও পথসভা করা হলনা। গতকাল বিকেল তিন টায় মহাসড়কের স্টেশনে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সংগঠনটির ঈদগাঁও উপজেলা শাখা এ উপলক্ষে মঞ্চ স্থাপনসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিকতার শেষও করেছিল। 'ইনকিলাব, দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ লেখা সম্বলিত ব্যানার শোভা পাচ্ছিল মঞ্চে। প্রচার করা হচ্ছিল দলীয়,বিপ্লবী নানা গান।
দুপুর ২টার পরে আয়োজক দের পক্ষ থেকে বারবার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছিল যে, ২০২৪’-এর জুলাই আন্দোলনের মহানায়ক ও এন সিপির কেন্দ্রীয় আহবায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদ, কেন্দ্রীয় এনসিপির নেতা সারজিস আলম,হাসনাত আব্দুল্লাহ,সামান্তা শারমিন, ডাক্তার তাসনিম জারাসহ অন্যান্যরা অল্প ক্ষণে মধ্যে ঈদগাঁওতে পৌঁছবে। এনসিপির ঈদগাঁও প্রতিনিধি তারেকুর রহমানসহ আর ও কয়েকজন এমন ঘোষণা দিচ্ছিলেন। ঘোষণায় জানানো হয়েছিল, নেতৃবৃন্দ কক্সবাজারে পথ যাত্রা ও সমাবেশ শেষে এখন ঈদগাঁও স্টেশনের সন্নিকটে এসে পৌঁছেছেন। সমাবেশ উপলক্ষে স্থানীয় ঈদগাঁও থানার বিপুলসংখ্যক পুলিশের সদস্য মঞ্চের আশেপাশে অবস্থান নেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এনসিপি প্রতিনিধি তারেকুর রহমান মাইকে ঘোষণা করেন, কেন্দ্রীয় টিমের একজন নেতা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঈদগাঁওর কর্মসূচি বাতিল করা হয়। এসময় রেপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান টহল দলও মহাসড়কে অবস্থান নেন। পাশাপাশি মঞ্চের আশেপাশে ও মহাসড়কে উৎসাহী মানুষের অবস্থান ও আনাগোনা দেখা যায়। হঠাৎ কর্মসূচি হবেনা ঘোষণা দেওয়ায় উপস্থিত লোকজনের মধ্যে নানা কানাঘুষা শুরু হয়।
দেখা গেছে, অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ। এতে পরিপক্কতা দেখা যায়নি। সংগঠনের নিবেদিত প্রাণ তেমন কোন নেতাকর্মীর দেখা মিলেনি।যদিও তারেকুর রহমান তার ঘোষণায় বলেন যে, শিগগিরই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে ঈদগাঁওতে আরো এক বড় প্রোগ্রামের আয়োজন করা হবে।
জানা যায়, পর্যটন শহর কক্সবাজারে এন সিপির সমাবেশে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী কর্তৃক বিএনপির কেন্দ্রীয় একজন নেতাকে লক্ষ্য করে বিরূপ মন্তব্য করায় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। ঈদগাঁওতে অনেককে মন্তব্য করতে শোনা যায়, এমনি পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে এনসিপির নেতা প্রোগ্রাম বাতিল করেছে।
তবে অন্য সূত্র মতে, একই দিন বিকেলে পার্বত্য বান্দরবানে এনসিপির অনুরূপ পদ যাত্রা কর্মসূচি থাকায় সময় স্বল্পতার কারণে নেতৃবৃন্দ ঈদগাঁওয়ের প্রোগ্রামে আসেননি।