বাঁকখালী নদীকে অবশ্যই দখলমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে ‘নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম, বাংলাদেশ’ আয়োজিত বেস্ট আরবান রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাঁকখালীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পরিকল্পনা ছিলো ৫ দিনের, কিন্তু প্রচণ্ড বাঁধার মুখে, প্রচণ্ড বিরোধিতার মুখে ৩ দিন উচ্ছেদ করা গেছে। কিন্তু দু’দিন উচ্ছেদ করা গেলো না তারমানে এই না যে উচ্ছেদ থেমে গেছে। উচ্ছেদ হবে। বাঁকখালী নদীকে আমরা অবশ্যই দখলমুক্ত করব। সেজন্য আমরা রাজনৈতিক সমর্থন যেন পাই, প্রশাসনিক সমর্থন যেন পাই সেটাও দেখতে হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ঠিক যেভাবে সাদা পাথর নিয়ে আমরা কথা বলেছি আজকে যেন একইভাবে বাঁকখালী নদীর দখল নিয়ে কথা বলি। কার দশতলা ভবন ভাঙতে বাঁধা দেওয়ার জন্য আজকে মাঠ পর্যায়ে এই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হলো, কার চারতলা ভবন বাঁকখালী নদীতে থাকার কারণে ওটা যেন না ভাঙা হয় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হলো, আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যারা ফলো করেন তারা দেখবেন কারা এতে খুশি হলো, যখন উচ্ছেদ বন্ধ করতে বাধ্য হলাম খুশি হলো কারা! এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আপনারা যদি প্রথম তিনদিনের বাঁকখালী নদীর দখল উচ্ছেদ ফলো করে থাকেন তাহলে দেখবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে গেছে, সর্বোচ্চ প্রস্তুতি সেখানে তাদের ছিলো। তারপরও বাঁধা কোত্থেকে আসলো, কেন এই বাঁধা দেয়া হলো। বাঁকখালী নদী গত চার বছরে কোন রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় দখল করা হয়েছিলো, আজকে সেই বাঁকখালী নদীর অবৈধ স্থাপনা ভাঙতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাঁধা কেন সেই প্রশ্নের উত্তর আমাদের অবশ্যই খুঁজতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, জনগণের সমর্থন থাকলে দখল উচ্ছেদ করা সম্ভব।