কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার অধীন দূর্গম পাহাড়ী জনপদ ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়কে নিয়ন্ত্রণহীন ডাকাতি, অপহরণ ও ছিনতাই বন্ধে সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে মাঠে নামলো নারী ওসি ফরিদা ইয়াসমিন। শুরু করেছেন পাহাড়-বন জঙ্গলে বিশেষ চিরুনি অভিযান।
বৃহস্পতিবার সকালে নবাগত ওসি ফরিদা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে দীর্ঘ তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে দূর্গম পাহাড়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চিরুনী অভিযান চালায়।
অভিযানে অংশ নেন জেলা পুলিশ লাইনের অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য,রামু থানা,পেকুয়া থানা, ডিবির পুরুষ ও মহিলা পুলিশের সদস্যরা। অভিযানকালে ডাকাতদল ও অপহরণ চক্রের বন ও পাহাড়ে বিচরণের সম্ভাব্য স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় চিহ্নিত করা হয়। অভিযানকালে ঈদগড় ও ঈদগাঁও এলাকার জনগণ অভিযানকারীদের সহযোগিতা করেন।
অভিযান শেষে ওসি ফরিদা ইয়াসমিন জানান, ডাকাতি, অপহরণসহ অন্যান্য অপরাধের শেকড় নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখবেন এবং অপরাধ বন্ধ করে এ স্টেশন ছাড়বেন বলে অঙ্গীকার করেন। তিনি মহিলা হলেও এর চেয়ে বড় অভিযানের অভিজ্ঞতা তার রয়েছে এবং এর শেষ দেখে ছাড়বেন জানান।
এদিকে সকালে গভীর জঙ্গলের পাহাড়ে-বনে চলা অভিযানের স্থিরচিত্র ও ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের এ মহিলা ওসির সাহসীকতার প্রশংসা করতে দেখা যায়।
বিশেষ করে অত্র উপজেলার অনলাইন এক্টিভিস্ট ও সাধারণ জনগণকে বলতে এবং লিখতে দেখা যায় ঈদগাঁও থানায় রুপান্তর হওয়ার পর থেকে বিগত সময়ে কর্মরত থাকা পুরুষ ওসিরা অব্যাহত ডাকাতি, অপহরণ ও ছিনতাই নিয়ন্ত্রণে যা করার সাহস করেননি,তিনি মহিলা হয়েও যোগদানের পরপর দূর্গম পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা জনগণকে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে আশাবাদি করে তুলছে এবং সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তারা নবাগত ওসির সফলতাও কামনা করেন।
উল্লেখ্য,নবাগত ওসি ফরিদা ইয়াসমিন ১৯ সেপ্টেম্বর যোগদানের দুইদিন পর ২২ সেপ্টেম্বর উক্ত সড়কে গণডাকাতি ও দুইজন অপহরণের শিকার হয়। ঘটনার পরপর তিনি পাহাড় জুড়ে চিরুনি অভিযানের এক পর্যায়ে চাপের মুখে একইদিন রাতে মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় ডাকাত দল।