প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

লেখক: ভোরের কণ্ঠ
প্রকাশ: ১ মাস আগে

গত ২৩ জুলাই ২০২৫ কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক গণসংযোগ পত্রিকায় প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত “চকরিয়ায় দুই সহোদর মিলেই রাজনৈতিক শেল্টারে গড়ে তুলেন সন্ত্রাসী বাহিনী” শিরোনাম আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন, উদ্দ্যোশ্য প্রনোদিত ও মনগড়া। আমি এধরণের ভিত্তিহীন সংবাদের তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। মুল কথা হচ্ছে, আমি হালালভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করে পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালিয়ে আসছি। এলাকার মানুষ জানে, আমরা বৈধ ব্যবসা করে আয় রোজগার করি। আমাদের পরিবার সবসময় এলাকার সাধারণ মানুষের সুখে দু:খে পাশে থাকি। কোনদিন কারও ক্ষতি করেনি। আমরা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। এলাকায় আমাদের পরিবারের সুনাম রয়েছে। বিগত সময়ে সামাজিক কর্মকান্ডে জনপ্রিয়তার কারণে বড় ভাই নুর হোসেন চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে কাউন্সিলর হয়েছিলেন। জনপ্রিয়তায় ঈর্শান্তিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানাভাবে হয়রানী ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে আমাদের পরিবার। বিগত সরকার ১৫ বছরে আমার বিরুদ্ধে প্রায় ২৩টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। এসব মিথ্যা মামলায় আমাকে চারবার জেল খাটতে হয়েছে। গত বছরের ৫আগস্ট ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মুখে সরকার পরিবর্তনের পর হয়রানীমুলক মামলা থেকে রেহাই পাবো বলে আশা করছিলাম। কিন্ত  একটি কুচক্রিমহল আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে অপপ্রচার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে যাচ্ছে।

আমি পৌরসভা বিএনপির ১নং ওয়ার্ডের বিএনপির সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছি। একটিমহল অপপ্রচার করছেন আমরা নাকী আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত? অথচ বিগত সময়ে আমি মিথ্যা মামলায় আসামী হয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছি। সংবাদে ভূলভাবে আমাকে সাবেক এমপি জাফর আলমের সহযোগি ও আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ আমি বা আমার ভাই কোনদিন আওয়ামী লীগের জড়িত নয়।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের আমলে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর গায়েবানা জানাজায় সাবেক এমপি জাফর আলমের নেতৃত্বে সশস্ত্র গোলাগুলির ঘটনায় আমাকে এবং বড় ভাই সাবেক কাউন্সিলর নুর হোসেনকে জড়িয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেছে। যা সম্পূর্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন ও মনগড়া।
সম্প্রতি একটি চাঁদাবাজ চক্র সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই টাকা দিতে রাজি হয়নি বলে একেরপরএক ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে প্রতিবেশি শহিদ ও আনিস গং এর মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। ওই মামলায় আমাকে এবং বড় ভাই নুর হোসেন কমিশনারকে আসামি করা হয়েছে। দুইপক্ষের মারামারি ঘটনায় আমরা ছিলাম না। কিছুদিন পর সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মুন্না নামের একব্যক্তি নুর হোসেন কমিশনারের কাছ থেকে মোবাইলে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে পারবে না বলে সাব জানিয়ে দেন। এরপর থেকে মিথ্যা মামলা, পত্রিকায় অপ্রপ্রচার ও নানাভাবে হয়রানী করতে থাকে। মুলত আমার রাজনীতি ও পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা প্রপাগন্ডা করে যাচ্ছে। আমি এধরণের মিথ্যা ভিত্তিহীন ও মনগড়া সংবাদের তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি এসব সংবাদ পরিহার করার জন্য মাননীয় সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী:
জয়নাল আবেদীন
সহ-সভাপতি, ১নং ওয়ার্ড বিএনপি
চকরিয়া পৌরসভা।