খুটাখালীর পূর্ব হাজীপাড়া সড়কের বেহাল দশা দেখার কেউ নেই!

লেখক: মনিরুল আমিন, চকরিয়া ( কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১ মাস আগে

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব হাজীপাড়া সড়কের বেহাল দশা আর বোবাকান্না দেখার যেন কেউ নেই! এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়-খুটাখালী বাজার থেকে হাজীপাড়া হয়ে শান্তি বাজার,মসজিদ পাহাড়,চেয়ারম্যান পাড়া,কালাচাঁন পাহাড় ও উত্তর মেদাকচ্ছপিয়া হয়ে মহাসড়ক।এই জনবহুল সড়কের সংযোগ সড়ক হলো পূর্ব হাজীপাড়া টু মধ্যম ও পূর্ব বাক্কুমপাড়া সড়কের ভগ্নদশা। শুধু বর্ষা নয়,শুষ্ক মৌসুমেও সাধারণ জনগণের হাটাচলাও র্দূবিষহ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বড়-ছোট সকল যান-চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় চরম র্দূভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।

ওই এলাকার বাসিন্দা চকরিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মিজবাউল হক সোহেল জানান-আমাদের পূর্বে হাজীপাড়া সড়ক হয়ে মধ্যম ও পূর্ব বাক্কুমপাড়া সহ নতুন বাজার আর নলবুনিয়ার সাধারণ জনগণের অবাধ চলাফেরা।যদিও দীর্ঘ ১৫বছর পূর্ব আমার চাচা মেম্বার শফিকুর রহমান শফি প্রায় ৭চেইন মত ইট বসিয়ে ছিল।বাকী আরো ১০চেইন মত মাটি ভরাটে কাঁচা রাস্তা করেছিল। এখন দীর্ঘ দেড় বছর যাবৎ ইটগুলো উপড়ে গিয়ে খানাখন্দকে ভরে গেছে আর মাটি ভরাট কাঁচা রাস্তাও ভেঙ্গে সাধারণ মানুষ সহ কঁচি শিক্ষার্থী,বৃদ্ধ-বৃদ্ধা,প্রসূতি,রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের চলাচলে চরম র্দূভোগ পোহাতে হচ্ছে। কারণ এই সড়ক দিয়ে যানচলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম বিপাকে এলাকাবাসী।এই সড়ক দিয়েই প্রতিনিয়ত ৩/৪হাজার মানুষের যাতায়াত করেন। বিগত দীর্ঘ ১৫বছরে কোন ধরণের সংস্কার কাজ হয়নি সড়কটিতে। বর্তমানে সড়কের যে অবস্থা ভারী বর্ষণে ডুবে থাকে,পাড় ভেঙ্গে জমিতে মিশে যাচ্ছে। ফলে সড়কটি সংস্কারের আগে গাইডওয়ালের ব্যবস্হা,ছোট-ছোট ২/৩টি কালভার্ট আর বর্ষার পানি নিষ্কাশনের পাকা ড্রেইনের ব্যস্হা এবং সড়কটি আরসিসি ঢালাইয়ের ব্যবস্হার জন্য আমি ব্যক্তিগত ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্হানীয় প্রশাসন ও উপজেলা,জেলা প্রশাসন সহ উন্নয়নের রুপকার বিএনপির জাতীয় স্হায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ এর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি বলে জানিয়েছেন তিনি।

খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহমান বলেন-সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে অবহিত করেছি। বাজেট পেলে কাজ শুরু হবে। বিগত সরকারের সময় সংস্কারে আশানুরূপ বাজেট না পাওয়ায় ইউনিয়ন জুড়ে গ্রামীণ জনপদের বেহাল অবস্থার দৃশ্য ভেসে উঠছে।