সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আজমানে গলায় রশি দিয়ে মোহাম্মদ আলমগীর (৩০) নামে চকরিয়ার এক প্রবাসী যুবকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১১টার সময় তার বাসার একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছেন সেই দেশের পুলিশ।
নিহত মো: আলমগীর চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের টোডাপাড়া এলাকার বেলাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পরিবারে বরাত দিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ও অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য তিন বছর পূর্বে দুবাইয়ে পাড়ি জমান উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের টোডাপাড়া এলাকার বেলাল উদ্দিনের ছেলে মো: আলমগীর। তিনি বিদেশে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী,এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানকে বাবা-মা’র কাছে রেখে যান। সে বিদেশে চলে যাওয়ার পর থেকে আলমগীরের স্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরণের ইস্যু নিয়ে কটুক্তি ও নির্যাতন করতো বলে তার স্বামীকে অবগত করেন স্ত্রী। সর্বশেষ স্ত্রীর সাথে বাবা-মা’র পারিবারিক নানা কলহের জেরে সে নিজেই আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছেন বলে সূত্রে জানায়। প্রবাসী আলমগীর দীর্ঘ তিন বছর ধরে দুবাইয়ের আজমানে দর্জির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি সেখানে দর্জি ডিজাইন মাস্টার হিসেবে ব্যবসায়ী মহলেও পরিচিতি ছিলেন।
চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলমগীর বলেন,আমার ওয়ার্ডের একজন যুবক দুবাইয়ের আজমানে আত্মহত্যা করেছে। এটা খুব দু:খজনক ঘটনা। তবে নিহতের স্ত্রীর দাবি, তার পিতা-মাতার সাথে অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করেছে। নিহতের পিতা-মাতার দাবি হচ্ছে,আমাদের ছেলের সাথে আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো। সে কেন আমাদের সাথে অভিমান করে আত্নহত্যা করবে? তারা আরো দাবি করেন,আমাদের ছেলে তার স্ত্রীর সাথে মোবাইলে কথা বলা অবস্থায় গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
ইউপি সদস্য আলমগীর আরো বলেন,নিহত প্রবাসী আলমগীরের মরদেহ দেশে আনার জন্য পারিবারিক ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাকে দেশে আনার জন্য আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবার।