সাধারণ পরিবার থেকেই বেড়ে উঠা অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ের হাফেজ মিজানুল হক।
পারিবারিক সাপোর্টের উপর নির্ভরশীল না হয়েই নিজ পায়ে দাঁড়িয়ে সফলতার গল্পের মহানায়ক হয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন টকবগে যুবক মিজান।
অদম্য স্পৃহা তাকে আটকিয়ে রাখতে পারেননি। লেখাপড়া তাকেই গ্রামীন পাঠশালা থেকে পৌঁছে দিলো অনন্য এক উচ্চতায়।ঈদগাঁওর মাইজ পাড়া আজিজিয়া নুরুল উলুম মাদ্রাসা থেকে তাঁর শিক্ষা জীবনের সূচনা ঘটে।
১৯৯১ সালে পবিত্র ত্রিশ পারা কোরআন শরীফ বুকে ধারন করে হাফেজ মাহফুজের তত্ত্বাবধানে রামুর জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসায় হেফজ পড়া শোনা করেন। পরবর্তীতে মাইজ পাড়া মাদ্রাসা থেকে ১৯৯৫ সালে স্বনামধন্য হেফজ শিক্ষক হাফেজ ক্বারী তোয়াহার হাত ধরেই তিনি হেফজ সমাপ্ত করেন।১৯৯৯ সালেই মিজান কওমী দরসে নেজামীর গুরুত্বপূর্ণ ক্লাসের জন্য ঐতিহ্যবাহী মাছুয়াখালী মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। পরেই ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানেই প্রথম স্থান অর্জন করে এলাকায় বিরল সম্মান বয়ে আনে। পরবর্তীতে জোয়ারিয়ানালার রড় মাদ্রাসায় ২০০০ সাল থেকে ২০২৫ সাল পযন্ত ধারাবাহিক পড়ালেখা করে মেশকাতে প্রথম স্থান অর্জনের মধ্যদিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য এশিয়ার অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল জামেয়া আল ইসলামীয়া পটিয়া মাদ্রাসা থেকে দাওয়ায়ে হাদিসে এরাবিক মাষ্টা্স সম্পন্ন করেছেন।
দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ঢাকা-চট্রগ্রামসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকার পবিত্র রমজান মাসেই তারাবীহ পড়িয়ে যাচ্ছেন হাফেজ মিজানুল হক।
ঢাকা তেজগাঁও নূরানী মাদ্রাসাসহ চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের বিভিন্ন মাদ্রাসায় সুনাম,কৃতিত্বের সাথে শিক্ষকতা করেন। সেই সাথে তিনি বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩৭টি মসজিদ নির্মানে সক্ষম হয়েছে।
প্রায় দীর্ঘ একযুগ ধরে হুফ্ফাজুল কোরআন ফাউন্ডেশন ও সংস্থাতে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন জেলা পযার্য়ে। বর্তমানে তিনি আঞ্জুমান ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ (কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ঈদগাঁওর দারুন নাজাত তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক,মানারুল হিদায়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম এবং চকরিয়ার পূর্ব খুটাখালী জামে মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।