কক্সবাজারের রামুতে আটক হওয়া আওয়ামীলীগ নেতা ও রামু চৌমুহনী মাস্টার বিল্ডার্স এর মালিক নুরুল আমিন মাস্টারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দরিদ্র কৃষকের জমি জবরদখল ও
টিসিবির পণ্য রাতের অন্ধকারে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । অভিযুক্ত নুরুল আমিন রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মোঃ ইদ্রিছ মিস্ত্রির ছেলে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক ৩৫ শতক জমি জবরদখলে রাখার গুরুত্বর অভিযোগ করেছেন ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের অফিসেরচর সিকদারপাড়া গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে কৃষক মোহাম্মদ করিম প্রকাশ আব্দুল করিম।
ভুক্তভোগী কৃষক করিম অভিযোগ করে জানান- ২০০৬ সালে মাস্টার নুরুল আমিন তার কাছ থেকে ৩৫ শতক জমি খরিদ করার জন্য ৩ লাখ ৬ হাজার টাকায় বায়নানামা চুক্তি সম্পাদন করেন। পরে বায়নানামার প্রাথমিক শর্তে ৫০ হাজার টাকা কথা থাকলেও তা প্রদান করেননি মাস্টার নুরুল আমিন। এরপর থেকে দীর্ঘদিন বায়নানামার চুক্তি মোতাবেক কোন প্রকার টাকা প্রদান না করে তাকে(কৃষক করিম) হয়রানি করে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন।
পরে নিরুপায় হয়ে কৃষক করিম বিভিন্ন সময়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার নুরুল আমিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের প্রভাব বিস্তার করায় কোন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি এর সুবিচার করার সাহস পাননি। কৃষক করিম আরও দাবি করেন কোন প্রতিকার না পাওয়ায় তিনি নিজ জমিতে সুপারী বাগান সৃজন করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন ক্ষমতার অপব্যবহার ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি -ধমকী দিয়ে তার স্বত্ব:দখলীয় সুপারি বাগান দখলের উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক ঘেরা-বেড়া দিয়ে দেয়। এমনকি জমিতে গেলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। কৃষক মোহাম্মদ করিম প্রকাশ আব্দুল করিম আরও জানান- এ প্রেক্ষিতে দখলীয় জমি ফিরে পেতে সম্প্রতি তিনি রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রাশেদুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ নিয়ে যান। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি জেলে থাকায় বিষয়টি এখন নিষ্পত্তি করা সম্ভব না। তিনি জেল থেকে মুক্তি পেলে উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের উদ্যােগ নেয়া হবে। এ জন্য তিনি পরে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি জানান- এ জমি দখলে নিতে নুরুল আমিন সহকারি জজ আদালতে একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা (নং ২০৭/২০২২) দায়ের করলে আদালত জমির পক্ষে যথাযথ প্রমানাদি না থাকায় সেটি খারিজ করে দেন। ভুক্তভোগী কৃষক করিম তার দখলীয় জমি উদ্ধারে প্রশাসন,জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।###