ঈদগাঁওতে যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিকে জনবল বৃদ্ধির দাবী

লেখক: ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২ সপ্তাহ আগে

কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে প্রায়সময় যানজটে নাকাল। সকাল-বিকেল ব্যস্তসময়ে দুর্ভোগ আরো বাড়লেও ট্রাফিক সেক্টরে জনবল সংকট। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলকে দেখা না গেলেও এক কনস্টেবল বাঁশির হুইসেল বাজিয়ে একাই দায়িত্ব সামলিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয়দের মতে, যানজটের প্রধান কারণ হলো পার্কিং। ঈদগাঁও স্টেশন, বাজার মোড়সহ বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাক, পিকআপ, সিএনজি ও ইজিবাইকসহ নানা যানবাহন যত্রতত্রে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে সড়ক সরুসহ সাধারণ মানুষকে দীর্ঘসময় আটকে থাকতে হয়। যানজট নিরসনে অবিলম্বে পর্যাপ্ত ট্রাফিক জনবল নিয়োগসহ পার্কিং নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অতীব প্রয়োজন মনে করেন তারা।

শিক্ষার্থীরা জানান, প্রায়সময় স্কুলে যেতে দেরি হয়। সড়কে ভীড় ও পার্কিংয়ের কারণে হাঁটতেও কষ্টকর হয়। এসব দেখার যেন কেউ নেই। যানজট তো আছে, তার সঙ্গে পার্কিংয়ের ঝামেলা কিন্তু অসহনীয়। এক বাজার ব্যবসায়ী জানান, মালামাল আনতে নানা সময়ে আটকে থাকতে হয়। এতে ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়ে থাকে।

স্টেশনের কম্পিউটার ব্যবসায়ী জাহেদুল ইসলাম রনি জানান, যানজটে ট্রাফিক পুলিশের কোন প্রকার তদারকি নেই। মহাসড়কের দুই পাশে দন্ডায়মান নানা যানবাহন দাড়িয়ে যাত্রী তোলার কারনে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে। এর পরিত্রান চাই।

বর্তমানে ঈদগাঁওতে কলেজ, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রশাসনিকসহ বাণিজ্যিক কার্যক্রমও দ্রুত বাড়ছে, কিন্তু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সেই তুলনায় উন্নতির শিখরে পৌঁছেনি এখনো।

সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার পর ঈদগাঁও বাসষ্টেশনে রাম প্রসাদ নামের একজন ট্রাফিক কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করার দৃশ্য চোখ পড়ে। তাঁর সাথে কথা হলে তিনি হতাশ কন্ঠে জানান, যেখানে কমপক্ষে চারজন কনস্টেবল থাকার কথা, সেখানে আজকে মাসাধিকেরও বেশি সময় ধরে একাই ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা যাচ্ছি স্টেশনে। ট্রাফিক সার্জেন্ট মাঝে মধ্যে দায়িত্ব পালন করেন।

সূত্র মতে, ট্রাফিকে জনবল সংকট সমস্যার মূল কারণ। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ট্রাফিক নিয়োগে এখনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। সার্জেন্টের সাথে যোগাযোগ করতে স্টেশনস্থ পুলিশ বক্সে গেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।