আম উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি। যশোরের শার্শা ও কলারোয়া উপজেলা ছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকরা আম গাছের গোড়ায় ‘ক্লিপার’ ব্যবহার করে ব্যাপক সাফল্য ও লাভবান হয়েছেন।
চাষিদের অভিজ্ঞতায় জানা গেছে, প্রতি মৌসুমে আম ভাঙার পর তারা নিয়মিত বাগান পরিচর্যা করেন। প্রথমে গাছের গোড়ায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয়, তারপর সার প্রয়োগ, আগাছা ও লতা-পাতা পরিষ্কার, অতিরিক্ত ডালপালা ছাঁটাই এবং নিয়মিত স্প্রে করা হয়। এসবের ফলে আম গাছ সবসময় সতেজ থাকে, রোগবালাই কমে যায় এবং ফলন বাড়ে।
তাদের মতে, আগে যেসব আমগাছে এক বছর ফল আসত, পরের বছর আসত না—এখন সেই গাছগুলোতে প্রতি বছর নিয়মিত ফল আসছে। এর পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে ‘ক্লিপার’।
ক্লিপারের কার্যকারিতা
গাছে সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে।
পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ঘটায়।
মূল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ও ডালপালা ছোট রাখে।
গাছকে স্থূলাকার করে হেলে পড়া রোধ করে।
শৈত্যপ্রবাহ ও আবহাওজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
ছত্রাক ও জীবাণু প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ক্লিপার ব্যবহারের ফলে ফলন বেড়েছে, খরচ কমেছে এবং লাভ আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্লিপারের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর আমচাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
এ বিষয়ে শার্শার কৃষকরা বলেন, “আমরা এই কোম্পানির ওষুধ ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছি।”
মেসার্স রফিকুল ইসলাম
প্রোপাইটার: মোঃ সাইজুল ইসলাম
পরিবেশক: ম্যাকডোনাল্ড বাংলাদেশ (প্রাঃ) লিঃ, পেট্রোকেম বাংলাদেশ (প্রাঃ) লিঃ, লারসেন কেমিক্যাল ইন্ডাঃ (প্রাঃ) লিঃ, সাদিক এগ্রো কেমিক্যালস কোং লিঃ, ব্যাবিলন এগ্রি সাইন্স লিঃ।
ঠিকানা: বাগআঁচড়া বাজার, কলেজ রোড (বকুলতলা), শার্শা, যশোর।