চকরিয়ায় ২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পূর্ববর্তী গড়ে তোলা দালানের পাপিষ্ঠে অন্যের বসতবাড়ি

রিপোর্টার: বিএম হাবিব উল্লাহ
প্রকাশ: 3 months ago

চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ফুলতলা সড়কের পুরাতন পল্লী বিদ্যুত অফিসের পাশে ৫ আগষ্ট ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লব উত্তর বিরুধীয় জমি দখলে নেয়া জনৈক বদরখালীর বাসিন্দা নুরুন্নবীর মালিকানাধীন জমির উপর তার বিল্ডিং এর ঠিক নিচে, চকরিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাহারিয়াঘোনা সিকদার পাড়ার বাসিন্দা মৃত আলহাজ্ব নুরুল কবির মুন্সির বিদেশ প্রবাসী ৩ পুত্র রিদুয়ানুল ইসলাম রাসেল, ফয়সাল আহমদ সিকদার ও আনোয়ারুল কবির পারভেজের ফুলতলার বাসিন্দা সালাহ উদ্দিন মিস্ত্রির কাছ থেকে ক্রয় সুত্রে সাফ কবলায় খতিয়ান মুলে মালিক এ ৩ ভাইয়ের সাড়ে ৯ কড়া জমির উপর স্থিত একটি সেমি পাকা দালান যা বর্তমানে নুরুন্নবীর নির্মিত বিল্ডিং এর নির্মান কাজে মসল্লা ও লোহলংকর সহ ভারী ময়লা ফেলার কারনে সেমি পাকা ঘরটি এখন ভুতুড়ে ঘরে রুপ নিয়েছে। চালের সব টিন ভেঙে গিয়ে এবং ঘরের অবকাঠামো নষ্ট হয়ে নুরুন্নবী নির্মিতি বিল্ডিং এ থাকা ভাড়াটিয়া দের পরিবেশ বিধংসী পলিথিন, প্লাস্টিকের আবর্জনায় ঠাসা এ সেমি পাকা ঘরটি। ইতিমধ্যে ঘরটিতে ভাড়ায় কোচিং সেন্টার পরিচালিত হতো। নুরুন্নবী ও তাদ কামলাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এক বছরের ঘরে ভাড়া না দিয়েই তারা আজ লাপাত্তা। কারন, ঘরটিতে প্রবেশের কোন সুযোগই নুরুন্নবীর কামলা লোকজন রাখেনি।
২১ জুলাই বিকেলে এ বিষয়ে নুরুন্নবীর ছেলেদের সাথে কথা বলেন ফয়সাল আহমদ সিকদার। ছেলেরা তাকে জানায়, তাদের ঘরের দেয়াল ভেঙে যাবে এ শংকায় তারা ফয়সাল সিকদারের সেমি পাকা ঘরের সাথে তাদের দেয়াল ঘেষে ময়লা ফেলে সেমি পাকা ঘরটি কে কোনঠাসা করে রাখে। টিন ও পুরু ঘরটি মেরামতের কোন সুরাহার কথা বলেনি। শুধু ময়লা সরিয়ে ফেলবে বলেও এখনো তা করেনি। কাজটি কখন করা হবে তাও অস্পষ্ট। ফয়সাল আহমদ সিকদার জানান, বর্তমানে নুরুন্নবীর খামখেয়ালীপনায় তাদের সেমি পাকা ঘরটির অন্তত ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। নুরুন্নবীর নির্মান করা বিল্ডিং এর চারিপাশে পৌরসভার নির্দেশনা ও নির্মান আইন লংঘন করে সীমানায় কোন প্রকার জমি খালি না রেখে ফয়সাল আহমদ সিকদার গংদের মালিকানাধীন জমির সীমানা ঘেষে তাদের কোনঠাসা করেই তিনি তার বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে বৃষ্টির পানি, ময়লা আবর্জনা ও পলিথিন প্লাস্টিক একাকার ঘরটি। তা ছাড়া নুরুন্নবীর বিল্ডিংটি পৌরসভার অপরিকল্পিত নগরায়নে নির্মিত এটি একটি বহুতল ভবন হওয়ায়, যে কোন মুহুর্তে নিচের সেমি পাকা এ ঘরটি চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। মুহুর্তে তুলকালাম কান্ড সংগঠিত হতে পারে।
এ নিয়ে তিনি প্রয়োজনে চকরিয়া থানা প্রশাসনের আশ্রয় নেবেন বলে সাংবাদিকদের জানান। বিষয়টি নিয়ে নুরুন্নবীর সাথে ফয়সাল আহমদ সিকদার ও প্রতিবেদক মোটো ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে একাধিক বার তার মোবাইলফোনে কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
তাই সচেতন মহল ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সঠিক নজরদারি ও কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ফয়সাল আহমদ সিকদার গং।