কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি মো. মোজাম্মেল হককে (৬৭) ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ’র আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। একই মামলায় নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সদস্য বিএম কবিরুল হক মুক্তিরও (৫৫) রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আসামিদের আদালতে উপস্থিত করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুস সালাম। রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. কায়েস আহমেদ অর্নব। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন বিচারক।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গুলশান-১ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করেছে গুলশান থানা পুলিশ। গুলশান থানা সূত্রে জানা যায়, মোজাম্মেল হক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা করেছেন। এছাড়া তার কাছ থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি দলীয় লোকজনের কাছে প্রচারের তথ্য পাওয়া গেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ‘১২ সেপ্টেম্বর বেলা দেড়টার দিকে গুলশান থানার ডা. ফজলে রাব্বী পার্কের দক্ষিণ পাশে সেতুর ওপর নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিলে তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক স্লোগান দেয়। এ সময় রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা চালিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনায় গুলশান থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মাহাবুব হোসাইন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।’