
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ এর পৃষ্ঠপোষকতায় মৌলভি ছাঈদুল হক ফাউন্ডেশন পরিচালিত শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি মেধা বৃত্তি পরীক্ষা কক্সবাজার জেলায় ৫ উপজেলায় ৬ টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় মৌলভী ছাঈদুল হক ফাউন্ডেশন পরিচালিত জেলার ৫ উপজেলায় পূর্ব নির্ধারিত ৬ কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়,চকরিয়া উপজেলায় চকরিয়া গ্রামার স্কুল,মালুমঘাট আইডিয়াল স্কুল এবং মাতামুহুরি (সাংগঠনিক) উপজেলার ভেওলা মানিকচর উচ্চ বিদ্যালয়,পেকুয়া উপজেলায একমাত্র কেন্দ্র পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুতুবদিয়া উপজেলার একমাত্র কেন্দ্র কুতুবদিয়া আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ এবং মহেশখালী উপজেলায় আহমদিয়া তৈয়্যবিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে অর্থাৎ জেলাব্যাপী ৬ কেন্দ্রে এক যোগে শহীদ জিয়াউর স্মৃতি মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিএনপির জাতীয় স্হায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এর প্রেস সচিব,পেকুয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছফওয়ানুল করিম।
এ বৃত্তি পরীক্ষায় চকরিয়া গ্রামার স্কুল কেন্দ্রে রেজিষ্ট্রেশনকৃত ৬৭৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৩৯,পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৭৫ জনের মধ্যে ৪৫৫ জন,মালুমঘাট আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রে ৪২৫ জনের মধ্যে ৪১৪ জন,কুতুবদিয়া আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৬৭০ জনের মধ্যে ৬৬৫ জন,আহমদিয়া তৈয়্যবিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৩৪১ জনের মধ্যে ৩০৫ জন এবং ভেওলা মানিকচর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩১৬ জনের মধ্যে ৩০৬ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এতে মোট রেজিষ্ট্রেশনকৃত শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ২৯০১জন এবং ১১৭ জন শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত দেখা যায়। ফলে এ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭৮৪ জন।
শহিদ জিয়াউর রহমান স্মৃতিবৃত্তি মেধা বৃত্তি পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক ও পেকুয়া বিএমআই ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদুল আলম চৌধুরী বলেন,আমি ২০০৫ সাল হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত একটানা এই বৃত্তি পরীক্ষার আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। কিন্তু ২০১৯ সাল হতে তৎকালীন সরকারের রোষানলে পড়ে এই বৃত্তি পরীক্ষা দীর্ঘ ৬ বছর বন্ধ ছিল।
৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের ফলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এর সার্বিক নির্দেশনায় পুনরায় শুরু হল।বেশ উৎসাহ উদ্দীপনায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করতে দেখেছি। এছাড়াও তিনি মনে করেন,এ ধরণের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যম শিক্ষার্থীদের মাঝে লেখা-পড়া করার প্রবল আগ্রহ ও প্রতিযোগিতার মানসিকতা সৃষ্ঠি হয় যা খুবই ইতিবাচক। আগামী ১০ডিসেম্বর শহীদ জিয়াউর রহমান বৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।###