
লামা উপজেলার একজন ব্যবসায়ী তাঁর ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় জমি জবরদখলের চেষ্টা ও মিথ্যা অভিযোগে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সিদ্দিকুল আলম ডন প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।ব্যবসায়ী সিদ্দিকুল আলম ডন লামা উপজেলার ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজার ১৩৫২ এর অংশ থেকে ১২ শতক জমি মাচানু মার্মার কাছ থেকে ক্রয় করেন। তিনি সেখানে সীমানা পিলার ও ঘেরাবেড়া দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপুর্ণভাবে ভোগদখলে আছেন।পৌরসভা এলাকার পশ্চিম রাজবাড়ীর বাসিন্দা নুর নাহার বেগম নামের এক নারী তাঁর জমিটি নিজের দাবি করে জবরদখলের চেষ্টা করছেন।জমি দখল করতে না পেরে নুর নাহার বেগম এখন সিদ্দিকুল আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে হয়রানি করছেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় একটি ফৌজদারী মামলাও করেন।জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সামাজিকভাবে পরিমাপ পরিচিহ্নিত করা হলে দেখা যায়, যার যার জমিতে সেই সেই দখলে আছেন। অর্থাৎ, ডনের জমিতে ডন এবং নুর নাহার বেগমের জমিতে নুর নাহার বেগম দখলে আছেন। স্থানীয়দের মতে, নুর নাহার বেগমের দাবি করা ৪২ শতক জমি ডনের জমি থেকে ৩০০-৪০০ গজ পূর্বদিকে অবস্থিত এবং দুটি জমির চৌহদ্দী সম্পূর্ণ ভিন্ন। সিদ্দিকুল আলম ডন বলেন, নুর নাহার বেগম লোভের বশীভূত হয়ে অনেক দূর থেকে এসে তাঁর ক্রয়কৃত নিষ্কণ্টক জমি জবরদখলের চেষ্টা করছেন। নুর নাহার বেগমের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অন্যদিকে, অভিযুক্ত নুর নাহার বেগম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সিদ্দিকুল আলম ডনই তাঁদের দখলীয় এক কানি জমি জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা করছেন।