
কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা রুম টু রিড বাংলাদেশ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) “জেন্ডার ট্রান্সফরমেটিভ অ্যাপ্রোচ” বিষয়ক দ্বিতীয় ধাপের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করে। এতে কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলার ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে রুম টু রিড বাংলাদেশ কক্সবাজার অফিসের সম্মানিত ফিল্ড ম্যানেজার চিত্তপ্রিয় আচার্য্য সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “শিক্ষকরা যদি শ্রেণিকক্ষে জেন্ডার সমতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করেন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে যা শিক্ষার হার বাড়াতেও অবদান রাখবে।”
দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে শিক্ষকদের জন্য অধিবেশন পরিচালিত হয়, যা মেয়েশিক্ষার্থীদের জীবন দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে, শ্রেণিকক্ষে জেন্ডার সমতা, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার মূল্যবোধ উন্নয়নে সহায়ক। শিক্ষকগণ মক সেশন, দলগত কার্যক্রম ও আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ এবং পরবর্তী করণীয় নিয়ে মতামত প্রকাশ করেন।
প্রশিক্ষণ পরিদর্শনে আসেন কক্সবাজার জেলার জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ গোলাম মোস্তফা, তিনি বলেন, “শিক্ষা ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ মেয়েশিশুদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে রুম টু রিডের প্রচেষ্টা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”
অংশগ্রহণকারী এক শিক্ষক বলেন “এই প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে শিক্ষার্থীরা কিভাবে জীবন দক্ষতার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে ও আত্মবিশ্বাসী হতে পারে এবং একজন শিক্ষক হিসেবে আমি তাদের জন্য জেন্ডার ট্রান্সফরমেটিভ অ্যাপ্রোচ এ কিভাবে একটি সমতা ও ভয়ভিতীহীন শ্রেণীকক্ষ গড়ে তুলতে পারি”।
রুম টু রিড বাংলাদেশের এই উদ্যোগ জেন্ডার ট্রান্সফরমেটিভ এডুকেশন বাস্তবায়নের অংশ, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৪ ও ৫ সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষা খাতে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠা।
রুম টু রিড বাংলাদেশ ২০২৩ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই এ বছরও দ্বিতীয় ধাপের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়েছে।
রুম টু রিড পরিচিতি:
রুম টু রিড বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। সংস্থাটির সাক্ষরতা কার্যক্রম শিশুদের পঠন দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করার পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়নেও ভূমিকা রাখে। অন্যদিকে, এর মেয়েদের শিক্ষা কার্যক্রম জীবন দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করতে এবং জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাবলম্বী করে তুলতে সহায়তা করে।###