পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দুই ছেলে সুলেমান খান ও কাশিম খান পাকিস্তান সফরের পরিকল্পনা করেছেন।
জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ জন্য তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন বলে জানিয়েছেন ইমরান খানের বোন বোন আলীমা খান।
তবে এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রিসভার সদস্য তালাল চৌধুরী প্রশ্ন তোলেন, আপনি তো আগেই বলেছেন ইমরানের সন্তানদের বিদেশে বসবাসরত পাকিস্তানিদের জাতীয় পরিচয়পত্র এনআইসিওপি আছে। যদি তাই হয়, তবে ভিসার দরকার কী? যদি ভিসা লাগে, তাহলে কি তারা প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানি নাগরিক নন? সত্যটা কী?
এর আগেই কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইমরান খান নিজেই তার সন্তানদের পাকিস্তান ভ্রমণ ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নিতে নিষেধ করেছেন। তবে পিটিআই এই প্রতিবেদনগুলোকে মিথ্যা দাবি করে বলেছে, সুলেমান (২৮) এবং কাশিম (২৬) অবশ্যই তাদের বাবাকে দেখতে পাকিস্তান আসবেন, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
পিটিআই মুখপাত্র শেখ ওয়াকাস আক্রম জানান, এখনো তাদের আগমনের নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারিত হয়নি, তবে এটা নিশ্চিত যে তারা আসছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ইমরানের ছেলেরা মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যাতে তারা তাদের বাবার মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক সহানুভূতি অর্জন করতে পারেন। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ৫ আগস্টের পিটিআই-বিশাল বিক্ষোভের আগেই তারা পাকিস্তান সফর করবেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বর্তমানে কারাবন্দি। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে তিনি দুর্নীতি, সন্ত্রাসসহ একাধিক মামলায় আটক রয়েছেন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। ২০২৪ সালের মে মাসে প্রথমবারের মতো কাশিম খান প্রকাশ্যে তার বাবার বন্দিত্ব নিয়ে কথা বলেন।
পরে জুন মাসে এক্সে তিনি লিখেছেন, আমার বাবা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, ৭০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে একাকী বন্দিত্বে রয়েছেন। তাকে আইনজীবী বা পরিবারের কারও সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। এমনকি ব্যক্তিগত চিকিৎসককেও প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। এটা বিচার নয়, বরং একজন মানুষকে ভেঙে দেয়ার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা, যিনি ন্যায়ের শাসন, গণতন্ত্র ও পাকিস্তানের জন্য লড়াই করেছেন। এই অবস্থায়, ইমরান খানের সন্তানদের পাকিস্তান সফর ও তাদের রাজনৈতিক ভূমিকা আগামিদিনে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।