ছিনতাই হওয়া খালি চেক নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এক ব্যবসায়িকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ওই খালি চেকে টাকা বসিয়ে হয়রানি করছেন এক প্রতারক চক্র। ব্যবসায়ি কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে সর্বস্থ খুইয়েছেন ব্যবসায়ি মোহাম্মদ ছায়েম। ওইসময় তার মোটরসাইকেল ও মানিব্যাগে থাকা কয়েকটি খালি চেকও ছিনতাইকারীরা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আহমেদ নুর নামে এক প্রতারক চক্রের সদস্যের বিরুদ্ধে চকরিয়া উপজেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন চকরিয়া উপজেলা পশ্চিম বড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দরবেশকাটা গ্রামের আজিজুল হকের পুত্র ও ব্যবসায়ি মোহাম্মদ ছায়েম।
ব্যবসায়ি ছায়েম জানান, গত ৩ এপ্রিল গভীর রাতে পেকুয়া সদর হতে ব্যবসায়ি কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বটতলী নামক স্থানে পৌছলে পূর্বে থেকে উৎপেতে থাকা একদল ছিনতাইকারী তাকে গতিরোধ করে। ওইসময় তাকে মারধর করে মোটরসাইকেল ও মানিব্যাগটি নিয়ে যায়। মানিব্যাগে নগদ টাকা সহ ডাচ বাংলা ব্যাংকের কয়েকটি খালি চেকও রয়েছে। পরবর্তী সময়ে খোজ নিয়ে জানতে পারি, ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটিয়েছে, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সরকারিঘোনা এলাকার আবদুল হকের পুত্র আহমেদ নুর। তাকে কোনদিন দেখিও নাই, ছিনিও না। সে একজন পেশাদার ছিনতাইকারী ও প্রতারক বলে জানতে পারি।
তিনি আরও বলেন, ওই প্রতারক আমার স্বক্ষর জাল করে ছিনতাই হওয়া একটি খালি চেকে ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকার অংক বসিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংক চকরিয়া শাখায় টাকা উত্তোলন করতে যায়। ব্যাংক হিসাবে টাকা না পেয়ে চেক ডিজঅনার করে। চেকটি ডিজঅনার করার পর প্রতারক আহমেদ নুর আমার কাছে টাকা পাবে বলে
আমার স্বাক্ষর জাল করে দুটি ৩০০টাকা মূল্যের নন জুড়িশিয়াল স্ট্যাম্প তৈরী করেছে। স্ট্যাম্পে ওই প্রতারকের কাছে জমি বিক্রি করা হবে মর্মে ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকার চুক্তিনামা তৈরী করেছে। অথচ চেক আর স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষরের কোন মিল নেই। এরইমধ্যে প্রতারক আহমেদ নুরের চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার বিষয়টি আমি জানার পর গত ২৮ আগষ্ট উপজেলা জড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কক্সবাজার সিআইডিকে তদন্তপূর্ববক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্যবসায়ি ছায়েম বলেন, আহমদ নুরের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই, চেক-জালিয়াতির সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ঢাকার সাভার থানায় তার বিরুদ্ধে অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলাও রয়েছে। যার (নং ৩৬৫/৩৮৬/৫০৬(২) / ৩৪)। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই প্রতারককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি। ##